সম্পর্ক ও দুরত্ব.....!

রুবাইয়া বিনতে রাজ্জাক, ফাউন্ডার,হ্যাপি প্যারেন্টিং। | প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ১৪:২৮; আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ১৪:২৮

ছবিঃ সংগৃহীত

সম্পর্কের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ কি জানেন? দূরত্ব বজায় রাখা। প্রতিটি সম্পর্কে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। ভালোবাসা এক জিনিস আর দূরত্ব বজায় না রাখা আরেক জিনিস। বিষয়দুটোকে গুলিয়ে ফেলবেন না,এই দুটো বিষয়ই একেবারে ভিন্ন। সম্পর্ক ভেদে ভালোবাসা আবদার মায়ামমতা জোরজবরদস্তিও সবকিছুই থাকতে পারে। আপনি আপনার সঙ্গী, বাবা, মা, ভাইবোন, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি সকলকে ভালোবাসবেন এটাই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু আপনি যতই ভালোবাসুন না কেন, সবার সঙ্গেই আপনার মিনিমাম একটা ডিস্টেন্স মেইনটেইন করা উচিত। এর মানে কিন্তু এই না যে আপনি তাদেরকে দূরে রাখবেন! আপনি অবশ্যই সকলের সাথে মিশবেন, নিজের দায়িত্ব কর্তব্য পালন করবেন তবে সব কিছুর মাঝেও নিজের একটা স্পেস সবসময় বজায় রাখবার চেষ্টা করবেন। এটাকে পার্সোনাল প্রাইভেসি বলে।

এতে কি হবে জানেন!এতে কেউ আপনার উপর অনধিকারচর্চা করতে পারবেনা। যেমন ধরুন,আপনার হাসবেন্ডের প্রাইভেট ব্যাপারগুলো যেমন আপনার মা'য়ের সাথে শেয়ার করা উচিত নয় তেমনি মা'য়ের কিম্বা ভাইয়ের সেনসিটিভ ব্যাপারগুলোও হাসবেন্ড কে বলা উচিত নয়। আমরা অনেকেই এই ভুলটা করি। নিজ সংসারের খুটিনাটি মায়ের কাছে ঢেলে দেই আবার হাসবেন্ড অনেক ভালোবাসি বলে ওই পক্ষের দূর্বলতাগুলো তাকে বলে ফেলি। এটা মোটেই ঠিক না। আবার অনেক সময় আমরা সম্পর্কের ব্যারিয়ার ভুলে যাই। যেমন ভাবিকে বোন বানিয়ে ফেলি, শ্বাশুড়িকে বান্ধবী। এটারো ভয়াবহতা ব্যাপক। যার সঙ্গে যে সম্পর্ক ঠিক সেটিই বজায় রাখা উচিত।

অনেক পরিবারের এই সম্পর্কের জটিলতা মেটাতে মেটাতে জীবনের অর্ধেক টা পার হয়ে যায়। অথচ এই সুক্ষ্ণ বিষয়গুলো মেইনটেইন করলেই কিন্তু অনেকটা ঝামেলা কমে যায়। আমরা যখন ভালোবাসবো তখন সেই মানুষগুলোর প্রতি আমাদের অবশ্যই ইতিবাচক অনুভূতি থেকে শতভাগ দেবার চেষ্টা করবো কিন্তু সবকিছুর মাঝেও খেয়াল রাখবো যেনো ব্যক্তি স্বাতন্ত্রে কোন ফাঁক না থাকে। 



বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top