অসম বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য
আয়েশা আক্তার সুমি, ঢাবি। | প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২১ ১৫:৫৩; আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২১ ১৫:৫৫
-2021-10-10-15-52-28.jpg)
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হলো পৃথিবীর সকলের মানসিক স্বাস্থ্যশিক্ষা, সচেতনতার দিন। এটি ১৯৯২ সালে প্রথম পালন করা হয়। কিছু দেশে একে মানসিক রোগ সচেতনতা সপ্তাহের অংশ হিসেবে পালন করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে কেউ না কেউ আত্মহত্যার মাধ্যমে প্রাণ হারান। আত্মহত্যাজনিত মৃত্যুর অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। অধিকাংশ ব্যক্তিই আত্মহত্যার সময় কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত থাকেন।
মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই। শারীরিক সুস্থতার ক্ষেত্রে আপনি যখন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, তখন আপনার অনেক কর্মশক্তি থাকে এবং আপনি ভালো কাজ করতে পারেন। সেরকম, আপনি যখন মানসিকভাবে সুস্থ, তখনও আপনি পূর্ণ উদ্যমে অনেক ভাল কাজ করতে পারেন।
আমরা স্বাস্থ্য বলতে শুধু শারীরিক বিষয়কেই বুঝি। এই সংজ্ঞা থেকেই বোঝা যায়, মানসিক স্বাস্থ্য আসলে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশের ৭৫ শতাংশ থেকে ৯৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। দুঃখজনক বিষয় হলো তাদের কোন মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা নেই। এমন বাস্তবতায় ‘অসম বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য’- প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর ১০ অক্টোবর পালিত হচ্ছে বিশ্ব ‘মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’। কোভিড-১৯ মহামারী মানুষের ‘মানসিক স্বাস্থ্যে’র ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে সম্মুখসারির যোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আইনজীবীসহ সাধারণ মানুষ কোভিডের কাছে হার মেনেছে এবং অনেকই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর কোভিড মহামারীর প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণায় দেখা গেছে ৬৪ শতাংশ মানুষ বিষণ্ণতায়, ৮৭ শতাংশ মানুষ আতঙ্কজনিত ও ৬১ শতাংশ চাপে ভুগছেন (সূত্র: আনালস অব গ্লোবাল হেল্থ- ২০২০)। দুঃখজনক হলেও এটি সত্যি যে মহামারী চলার মধ্যেই কোভিড নিয়ে এবং সংক্রমিত ব্যক্তির সৃষ্ট মানসিক সমস্যা নিয়ে অনেক সামাজিক অপবাদ ও বৈষম্যের ঘটনা ঘটেছে।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানসিক স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আরও বেশি মনোযোগী হতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা মহামারির এই বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে জনসাধারণের মানসিক স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়াও পরিবারের সদস্য, সমাজের নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের মানসিক স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন। এই পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার পরিধি আরও বিস্তৃত করতে হবে।
বিষয়: মানসিক স্বাস্থ্য অসম বিশ্ব
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: