ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ

ফারজানা নিপা, ঢাবি। | প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২০ ০০:৩৩; আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২০ ০৩:০২

ছবিঃ সংগৃহীত

মোছা: কাকলী খাতুন,পড়াশুনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ২০১৩-১৪ সেশনে। চুয়াডাঙ্গা সদরেই তার বেড়ে ওঠা। বাবা মায়ের তিন কন্যা সন্তানের মধ্যে কাকলীই বড় কন্যা। ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনায় ছিল অদম্য মেধাবী।স্কুল কলেজে সব সময় ছিলেন প্রথম সারির স্টুডেন্ট।
ছোটবেলা থেকে তার মনের মধ্যে ছিল এক অদম্য বাসনা।হতে চান ম্যাজিস্ট্রেট। সেই অদম্য ইচ্ছা পূরণ করার জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিসিএসের।
আজকে শুনব তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পিছনের গল্প এবং এবছর যারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তাদের জন্য কিছু পরামর্শ-
'আমি সব সময় চাইতাম বাবা মায়ের সাথে এলাকায় থাকতে এবং এলাকার কাছাকাছি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে।বাড়ি থেকে দূরে যেয়ে পড়তে হবে এটা কখনো আসলে চিন্তা করিনি। কিন্তু বাবা মা চাইত আমি কোনো নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তাদের চাওয়া থেকেই মূলত ঢাকায় এসে পরীক্ষা দেওয়া।
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম তুলিনি।প্রস্তুতি ভালো ছিল,আত্মবিশ্বাস ছিল তাই আর অন্য কোথারও ফরম তুলিনি।
ছোটবেলা থেকেই খুব স্বপ্নবাজ মানুষ আমি।স্বপ্ন দেখতে ভালবাসতাম আর সেই স্বপ্ন পূরণেও কখনো অনীহা দেখাতাম না।মেয়ে বলে কখনো নিজেকে দূর্বল ভাবতাম না।নিজের যোগ্যতা আর পরিশ্রম দিয়ে স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে গেছি এবং প্রমাণ করতে চেয়েছি আমি-ই পারি।
আমি খুব বেশি সময় নিয়ে পড়তাম না কিন্তু যেটুকু পড়তাম মনোযোগ দিয়ে আর নিয়মিত পড়তাম।শত শত বই পড়তাম না।কয়েকটা বই বাছাই করে নিয়েছিলাম আর সেগুলোই পড়তাম।
সত্যি বলতে কি ভর্তি পরীক্ষার সময় বাজারে হাজারটা বই আসে এবং ছেলেমেয়েরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় কোনটা রেখে কোনটা পড়বে। আমার মতে এমন হাজারটা বই না পড়ে কয়েকটা বই বাছাই করে নিতে হবে এবং ঐগুলোই পড়তে হবে।যেমন বাংলা আর ইংরেজির জন্য আসলে টেক্সট বই-ই পড়তে হবে কারন ভর্তি পরীক্ষার বিগত প্রশ্নগুলো দেখলে বুঝা যাবে যে টেক্সট বই এর বাইরে খুব একটা প্রশ্ন আসেনি। তাই যারা 'খ' ও 'ঘ' ইউনিটে পরীক্ষা দিবেন তারা বেশি বেশি টেক্সট বই পড়বেন।
সাধারণ জ্ঞানের জন্য বাজারে প্রচলিত নামকরা পাবলিকেশন্স এর বই আছে,সেখান থেকে যে কোনো দুইটা বই পড়তে হবে আর নিয়মিত দুই তিনটা পত্রিকা পড়তে হবে। তাহলেই আশা করা যায় সাধারণ জ্ঞানে কোনো সমস্যা হবে না।
ভর্তি পরীক্ষার জন্য যেহেতু খুব কম সময় পাওয়া যায় তাই এই সময়টা নষ্ট না করে ক'টা মাস মনোযোগ দিয়ে পড়লেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাওয়া যাবে।ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের জন্য রইল আমার শুভ কামনা।'



বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top