আর নয় পড়তে বসে ঘুম!

নারীকথন | প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২০ ১৬:২০; আপডেট: ৯ অক্টোবর ২০২০ ১৬:২১

প্রতীকী ছবি

ছোটবেলায় পড়তে বসে ঘুমিয়ে পড়ে বাবা-মায়ের বকুনি খাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যাওয়া, এটা শুধুই ছোটদের ক্ষেত্রে নয়, বড়দের জীবনেও একটি সাধারণ ঘটনা। অনেকে রাতে ঘুম না আসলে হাতে নিয়ে নেন প্রিয় লেখকের কোন একটি বই। পড়তে পড়তে একসময় ঘুমের দেশে। অনেকের ঘুমের সমস্যা থাকলেও, পরীক্ষার আগের দিন রাজ্যের ঘুম এসে ভর করে। এই সমস্যায় শিক্ষার্থীরা বেকায়দায় পড়েন বেশি। দেখা যায়, সারাদিন হাজারটা কাজ করে ফেলতে পারেন অনায়াসে। কিন্তু পড়তে বসতে শুরু করলেই ঘুমের আক্রমণে নাজেহাল। অনেকেই হয়তো ভাবি, আজ অনেকক্ষণ পড়বো। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখা যায় আপনি বইয়ের ওপর অথবা বই আপনার ওপর পড়ে আছে। অনেকেই ভাবেন এই পড়তে বসলে ঘুমিয়ে পড়াটা শুধু তারই সমস্যা। এই ধারণা ভুল। প্রায় সবার ক্ষেত্রেই এটা হয়।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৭০% ছেলেমেয়েরা এই সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যার পেছনের কারণ কি? ফাঁকিবাজি নাকি মন বসে না পড়ার টেবিলে? পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর জন্য জীবনে হয়তো অনেক চেষ্টা করেছেন বা করছেন। অনেকে অনেক পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। এবার এমনই কিছু ঘুম তাড়ানোর পদ্ধতির কথা শোনাবো আপনাদের–

জোরে শব্দ করে পড়ুনঃ ছোটবেলায় হয়ত আপনার মা আপনাকে শাসিয়ে বলতেন ‘এত জোরে জোরে পড়বি যেনো আমি পাশের ঘর থেকে শুনতে পাই।’ তখন হয়ত মা বুঝত আপনি চুপচাপ পড়লে ঘুমিয়ে পড়বেন। এখন হয়ত বড় হয়েছেন বলে লজ্জায় জোরে পড়েন না। কিন্তু ঘুম তাড়ানোর জন্য এখন হয়তো এই পদ্ধতিটা অ্যাপ্লাই করে দেখতে পারেন।

পড়ার ঘরে পর্যাপ্ত আলো রাখুনঃ রুমে আলো কম থাকলে ঘুম ঘুম একটা আবহাওয়া তৈরি হয়।তাই পড়ার রুমে সব সময় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখুন।

‘আর্লি টু বেড আর্লি টু রাইজ’ মেনে চলুনঃ ছোটবেলায় আমরা সবাই-ই পড়েছি ‘আর্লি টু বেড আর্লি টু রাইজ।’আপনি যদি রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান তাহলে আপনার যথেষ্ট পরিমাণ ঘুম হবে।ফলে আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে তরতাজা হয়ে ঘুম থেকে উঠতে পারবেন।

ভারি খাবার বর্জনঃ ভারি খাবার গ্রহণের ফলে সবারই আলসেমি বোধহয় এবং বিছানায় শরীর এলিয়ে দিতে ইচ্ছে করে।তাই পড়ার আগে ভারি খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

বিছানা নয় টেবিল বেছে নিনঃ পড়ার জন্য আরামদায়ক জায়গা যেমন বিছানা,সোফাকে টাটা জানান।কারন আপনার শরীরের অবস্থা কেমন আছে সেটা দেখেই আপনার মাইন্ড আপনাকে চালিত করে।তাই পড়ার জন্য টেবিলকে বেছে নিন।

প্রচুর পানি পান করুনঃ পানি পানের একটা ব্যবহারিক দিক আছে।আপনি যত বেশি পানি পান করবেন,আপনার তত বেশি বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হবে।আপনি ঘুমিয়ে পড়লেও মূত্রবেগের অস্বস্তিতে দ্রুতই ঘুম ভেঙে যাবে। তাছাড়া পানি পান করায় মস্তিষ্ক আর্দ্র থাকে ফলে পড়া বুঝতে ও মনে রাখতে সুবিধাও হয়।

হাটা এবং পড়াঃ মুরুব্বিরা প্রায়ই বলতেন ঘুম আসলে হাটবি আর পড়বি, দেখবি ঘুম পালাবে।তাদের বলা এই পদ্ধতিটাও প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।

একা একা পড়বেন নাঃ একা রুমে পড়া অবস্থায় আপনি ঘুমিয়ে পড়লেও হয়ত কেউ দেখার থাকে না।তাই বাবা-মা কিংবা ভাই বোন যে রুমে থাকে সেখানে বসে পড়ুন। ★চা-কফি পান করুনঃ চা কফি পান করলে অনেকের ঘুম ঘুম ভাবটা চলে যায় তবে তা ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাই চাইলে এই পদ্ধতিটাও প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।

‘পাওয়ার ন্যাপ’ গ্রহণঃ সারাদিন একটানা না পড়ে পড়ার ফাঁকে ফাঁকে ঘুমিয়ে নিলে শরীরে নতুন শক্তির সঞ্চার হতে পারে।এজন্যই একে ‘পাওয়ার ন্যাপ’ বলা হয়।

লেখাঃ ফারজানা আক্তার নিপা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।



বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top