গায়িকা থেকে নায়িকা!

নারীকথন | প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২০ ০১:০২; আপডেট: ৭ অক্টোবর ২০২০ ০১:৩৫

ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ছিল তাদের আগ্রহ। হয়তো ভেবেছিলেন একদিন গানের মঞ্চ মাতিয়ে তুলবেন, হবেন দেশসেরা গায়িকা। কিন্তু ভাগ্যদেবী তাদের খ্যাতির গল্প হয়তো লিখেছিলেন অন্যভাবে। গানের মঞ্চ ছেড়ে হয়ে উঠেছেন রুপালী পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। গায়িকা থেকে নায়িকা বনে যাওয়া তেমনই কয়েকজন অভিনেত্রীদের নিয়ে আমাদের আজকের এই আয়োজন।

★দিতিঃ ‘চিঠি কেনো আসে না আর দেরি সহে না, ভুলেছো কি তুমি আমাকে , ভুলেছো কি নাম ঠিকানা’ জনপ্রিয় এই গানে ঠোঁট মেলানো নায়িকা দিতি যে নিজেই অসাধারণ কণ্ঠের অধিকারী তা হয়ত আমরা অনেকেই জানি না। কালজয়ী এই নায়িকার গানের হাতেখড়ি হয়েছিল ছোটবেলা থেকেই। আধো আধো বুলিতেই গুণগুন করে গান গাইতেন। ছোটবেলা থেকে গান গেয়ে যেমন দর্শকের মন জয় করেছেন তেমনি প্রাপ্তির ঝুলি ভরেছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায়। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও রেডিওতে নিয়মিত গানও গেয়েছেন। তার প্রথম গানের অ্যালবাম হচ্ছে ‘তোমার ও চোখে’

★মৌসুমীঃ লাক্স সুপারস্টার মৌসুমীর মিষ্টি কণ্ঠের গান আমরা অনেকেই শুনেছি। ‘মাতৃত্ব’ ছবির গানে প্রথম কণ্ঠ দেন এই বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা। ২০১৪ সালে ‘তাঁরকাটা’ ছবিতে ‘কি যে শুন্য লাগে তুমিহীনা’ গানটি প্রায় অনেকেরই মুখে মুখে ছিল।

★নুসরাত ফারিয়াঃ ছোটবেলা থেকে গানের প্রতি ছিল আগ্রহ। কিন্তু গায়িকা নয়, দর্শকদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছেন রুপালি পর্দার জনপ্রিয় নায়িকা হিসাবে। তবে প্রতিভা লুকিয়ে থাকেনি। ছোটবেলার সে প্রতিভা ফুটে উঠেছে সিনেমার মাধ্যমেই। এই প্রজন্মের হার্টথ্রুব নায়িকা নুসরাত ফারিয়ার ‘হে পটাকা’ গান সবার মুখে মুখে। পটাকা গান দিয়েই দর্শক ভক্তদের বাজিমাত করেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এই নায়িকা।

★নুসরাত ইমরোজ তিশাঃ বাবা আদুরে তিশা ছোটবেলা থেকেই গান, অভিনয় নিয়ে বেড়ে উঠেছেন। ১৯৯৫ সালে নতুন কুঁড়িতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। ‘অ্যাঞ্জেল’ নামে একটা ব্যান্ড দলও তার ছিল। কিন্তু বাবা আদুরে মেয়ের বাবা মারা যাওয়ার পর ব্যান্ড দলটি বন্ধ করে দেন।

★জয়া আহসানঃ তিন প্রজন্মের নায়িকা বলা হয় যাকে, যাকে এভারগ্রিন নায়িকা নামেও ডাকা হয় তিনি হলেন জয়া আহসান। অভিনয় শুরু আগেই নাচ-গানের প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল তার। রবীন্দ্র সংগীতের উপর ডিপ্লোমা এবং আধুনিক সংগীতের উপর প্রশিক্ষণও নেয়া ছিল। তিনি একটি সংগীত স্কুলও পরিচালনা করেন।

লেখাঃ ফারজানা আক্তার নিপা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।



বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top