কিশোরীদের চুলের যত্ন।

ফারজানা নিপা, ঢাবি। | প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০ ১১:৫৬; আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২০ ১২:০০

ছবিঃ সংগৃহীত

কিশোর কিশোরী বয়সের এক বিশেষ বিষয় আছে। এ বয়সে মন কেন যেন বড়দের মতো সব কিছু চায়। এযুগে কিশোরীরা চায় বড় চুল রাখতে। কখনও খুলে রেখে, কখনওবা নানা নকশায় চুল বেঁধে সাজতে চায় ভিন্নভাবে। কিশোরী বয়সে তাহলে যত্নও নিতে হবে বিশেষভাবে। মেয়েদের সকলের একটাই অভিযোগ কারণে অকারণে তাদের চুল পড়ে যায়। এটি কিশোরী মেয়েদের চুলের সাধারণ সমস্যা। সমস্যাটা হয়ত অনেকের ক্ষেত্রে একটু বেশি হয় আবার অনেকের কম। নিয়মিত চুলের যত্ন না নিলে এর থেকে পরিত্রাণ সম্ভব নয়। কিভাবে চুলের যত্ন নিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব তা নিয়ে পরামর্শ করব---

১. চুল বাঁধা চুল বাঁধা নিয়ে অনেকেই অনীহা দেখান। খোলা চুলেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। রাতের বেলা চুল না বাঁধলে এই স্বাচ্ছন্দ্যবোধই হবে চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কেননা, বালিশের ঘষাঘষিতে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়।

২. তেলের মালিশ কিশোরী বয়সে অনেকেই চুলের যত্নে অবহেলা করেন। চুল পড়া রোধ করতে তেলের মালিশ করাটা খুবই দরকার। এতে চুলের গোড়া মজবুত হয়। দিনে তেল দেওয়ার সময় না থাকলে রাতে তেল দিয়ে সকালে শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।

৩. ঠিকমত শুকাতে হবে চুল ধোয়ার সাথে সাথেই আমরা তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে পানি মুছে ফেলি। এটি চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর,চুল রুক্ষ হয়ে যায়। প্রাকৃতিক বাতাস বা হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে নিচু তাপে চুল শুকানো উচিত।

৪. নিয়মিত চুল আঁচড়ানো নিয়মিত চুল না আঁচড়ালে চুলে জট বেঁধে যায়। জট বাঁধা চুল আঁচড়াতে গেলে চুল ছিঁড়ে যায়। তাই কিশোরীদের নিয়মিত চুল আঁড়ানো উচিত।

৫.মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে। মোটা দাঁতের চিরুনিতে চুল আঁচড়ালে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

৬.নিয়মিত চুল পরিষ্কার করতে হবে। বাইরে গেলে এমনিতেই চুল খুব ময়লা হয়। তাই বাইরে থেকে আসার পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালভাবে চুল পরিষ্কার করে নিতে হবে। প্রতিদিন সম্ভব না হলেও দুই দিন পর পর শ্যাম্পু করা দরকার।

৭.সুষম খাবার কিশোরী বয়সে খাবারের উপর তেমন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এই বয়সে স্ট্রিট ফুড খাওয়া হয় বেশি। এতে করে পরিমাণমত সুষম খাবারের ঘাটতি থেকেই যায়। তাই চুল পড়া রোধ করতে সুষম খাদ্যের দিকে নজর রাখতে হবে।

৮.আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নেওয়া উচিত। কিশোরী বয়স মানেই সকাল হলে স্কুলে ছোটার তাড়া। তাই ছুটির দিনগুলোতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিতে পারেন। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় চুল পড়াটা কম হয়। তাই ঘরে বসে নিজেই বিভিন্ন প্যাক তৈরি চুলে লাগাতে পারেন।



বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top